ঢাকা || দোয়েল নিউজ পোর্টাল প্রকাশিত: ০৮ মে ২০২৫ || আপডেট: ০২:০০ PM
ঢাকা: বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ভিসা চালু করার বিষয়ে অগ্রগতি অর্জিত হওয়ায় সংযুক্ত আরব আমিরাতকে (ইউএই) ধন্যবাদ জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। একই সঙ্গে তিনি বিভিন্ন খাতে দেশটির বিনিয়োগ প্রস্তাবকেও স্বাগত জানিয়েছেন।
আজ বুধবার (মে ৭, ২০২৫) ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ইউএইর টলারেন্স অ্যান্ড এক্সিসটেন্স-বিষয়ক ক্যাবিনেট মন্ত্রী শেখ নাহিয়ান বিন মুবারক আল নাহিয়ানের নেতৃত্বে একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে। এই সাক্ষাৎকালে অধ্যাপক ইউনূস ইউএই-কে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
শেখ নাহিয়ানের নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধিদলটি বেলা ২টা ৪৫ মিনিটে ঢাকায় স্বল্প সময়ের সফরে পৌঁছায়। হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী তাদের অভ্যর্থনা জানান। প্রতিনিধিদলে আরও ছিলেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়-বিষয়ক মন্ত্রী আহমেদ বিন আলী আল সায়েঘ এবং বিনিয়োগ মন্ত্রণালয়ের আন্ডার সেক্রেটারি মোহাম্মদ আবদুর রহমান আল হাওয়ি।
আল নাহিয়ান প্রধান উপদেষ্টাকে বলেন, “বাংলাদেশের প্রতি সংহতি প্রকাশ এবং আমাদের বন্ধুত্ব পুনর্ব্যক্ত করতে আমি আমাদের প্রেসিডেন্টের নির্দেশে এখানে এসেছি।” তিনি আরও বলেন, “আমাদের দুই দেশের সরকারের মধ্যে সাম্প্রতিক সময়ের বাড়তি সংলাপকে আমরা প্রশংসা করি। আমরা বিনিয়োগ থেকে শুরু করে ভিসা পর্যন্ত সব খাতে সহযোগিতার আশ্বাস দিচ্ছি এবং আমরা একসঙ্গে কাজ করতে ইচ্ছুক।”
এই সৌহার্দ্যমূলক উদ্যোগের প্রশংসা করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “আমরা এ ধরনের সম্পৃক্ততা ও সহযোগিতাকে স্বাগত জানাই। আমরা বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ প্রস্তাবকেও স্বাগত জানাই।” ভিসা নীতিতে শিথিলতার কথা উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, “ভিসার দরজা খোলার জন্য ধন্যবাদ। এখনো কিছু পদক্ষেপ নেওয়া বাকি আছে, আশা করি আমরা সম্পৃক্ত থাকব এবং সমস্যাগুলো সমাধান করব।”
সম্প্রতি ইউএই প্রতিদিন ৩০ থেকে ৫০টি ভিজিট ভিসা ইস্যু করছে বলে জানা গেছে। ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের জন্য ভিসাগুলোও সাম্প্রতিক সময়ে দ্রুত অনুমোদিত হচ্ছে। সেই সঙ্গে মানবসম্পদ মন্ত্রণালয় দক্ষ কর্মীদের জন্য অনলাইন ভিসা সিস্টেম আবার চালু করেছে। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে বিপণন ব্যবস্থাপক, হোটেলকর্মীসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের ভিসাও এই পদ্ধতিতে দেওয়া হয়। এছাড়া নিরাপত্তারক্ষীদের জন্য ৫০০ ভিসা ইতিমধ্যে ইস্যু হয়েছে এবং আরও ১ হাজার ভিসা অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
বৈঠকে ঢাকায় নিযুক্ত ইউএই রাষ্ট্রদূত আব্দুল্লাহ আলী আল হমোদি এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদও উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে ইউএই প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ ত্যাগ করে। এই সফর দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করবে এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতার নতুন দ্বার উন্মোচন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।