চট্টগ্রাম ব্যুরো || দোয়েল নিউজ পোর্টাল প্রকাশিত: মে ২৪, ২০২৫ || আপডেট: ১০:৩০ PM
চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামে চুরি হওয়া সিএনজিচালিত অটোরিকশার রঙ ও নম্বর পরিবর্তন করে বিক্রির অভিযোগে একটি সংঘবদ্ধ চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। শুক্রবার (২৩ মে) রাত ১১টায় নগরীর পাঁচলাইশ থানার বাদুরতলা এলাকার হাসানের ওয়ার্কশপ থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- কুমিল্লার চান্দিনার হাসান পাটোয়ারী এবং ভোলার লালমোহনের বিল্লাল হোসেন। শনিবার (২৪ মে) এই তথ্য দোয়েল নিউজ পোর্টালকে নিশ্চিত করেছেন নগর গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার হাবিবুর রহমান।
উপকমিশনার হাবিবুর রহমান জানান, গ্রেপ্তারকৃত দুজনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে নগরীর চান্দগাঁওয়ের শরফতউল্লাহ পেট্রল পাম্পের পেছনে একটি সিএনজি গ্যারেজে অভিযান চালানো হয়। সেখান থেকে দুটি চোরাই সিএনজিসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত সরঞ্জামের মধ্যে রয়েছে ৩৫টি লেটার পাঞ্চ, একটি ড্রিল মেশিন, একটি নম্বর প্লেট, ২টি রিপিট গান, একটি হাতুড়ি, একটি প্লাস, একটি রেত ও সংশ্লিষ্ট কাজের একটি স্ক্রুড্রাইভার।
ডিবি সূত্রে জানা গেছে, এই চক্রটি অত্যন্ত সুসংগঠিতভাবে কাজ করত। চক্রের কয়েকজন সদস্য প্রথমে চট্টগ্রামের বিভিন্ন জায়গা থেকে সিএনজি চুরি করত। এরপর সেই চোরাই সিএনজিগুলো অন্য একটি গ্রুপ কিনে নিত। পরবর্তী সময়ে, গ্রেপ্তারকৃতরা সেগুলোর ইঞ্জিন নম্বর, চেসিস নম্বর ও রঙ সম্পূর্ণ পরিবর্তন করে নতুন রূপে বিক্রি করত। সিএনজিগুলো দেখলে বোঝার উপায় ছিল না যে এগুলো চুরি করা হয়েছে। তারা এতটাই নিপুণভাবে রূপ পরিবর্তন করত যে এগুলোকে একদম নতুন সিএনজি বলেই মনে হতো। এমনকি, অনেক সময় বিআরটিএর কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে এই চোরাই সিএনজিগুলোকে ‘অন টেস্ট’ দেখিয়ে নতুন রেজিস্ট্রেশন করিয়ে বৈধভাবে সড়কে চালানো হতো।
উপপুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমান আরও বলেন, চোরাই সিএনজিগুলো প্রথমে তারা ইঞ্জিন নম্বর ও চেসিস নম্বর পাঞ্চ করে পরিবর্তন করত। পরে অদ্ভুত এক নম্বর লাগিয়ে নতুন রঙ করে বিক্রি করতো। এরমধ্যে কিছু কিছু সিএনজি অন টেস্ট দেখিয়ে বিআরটিএ থেকে রেজিস্ট্রেশন মাধ্যমে নতুন নম্বর নিত। গ্রেপ্তারকৃত দুজনের বিরুদ্ধে চুরি ও প্রতারণা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং এই চক্রের অন্যান্য সদস্যদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।